জানা-অজানা
সৌম্য সেনাপতি ১. ক্ষুদ্র কবিতা
Come
Home.
জর্জ ম্যাকডোনাল্ড মাত্র দুটি শব্দে একটি কবিতা লেখেন।
কবিতাটির নাম
Come Home.
এটিকে বলা হয় সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও সুন্দরতম গান। এটিকে সবচেয়ে ছোটো ভিক্টোরিয়ান
কবিতা বলে গন্য করা হয়। স্যার ক্রিস্টোফার রিক এই কবিতাটি তাঁর The New
Oxford Book of Victorian Verse বইতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
২. রুগী থেকে কবি
৩. ঘর পালানো ছেলে
৪. দীর্ঘ্য বাক্য
২. রুগী থেকে কবি
“যে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায় না
তা তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়।”
বিখ্যাত আমেরিকান কবি অ্যানি সেক্সটনের জন্ম ১৯২৮
খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর। তাঁর কবি হওয়ার পেছনে একটি চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে। অ্যানি
মারাত্মক মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মধ্যে উন্মত্ততার
লক্ষণ প্রকাশ পায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তার পরের বছর। তখন তাঁর চিকিৎসক ডাঃ
মার্টিন ওরন তাঁকে উৎসাহিত করেন কবিতা লেখার ব্যাপারে। এইভাবে কবিতা জগতে তাঁর
প্রবেশ। সারাজীবনে তিনি অনেক কবিতা ও উপন্যাস লিখেছেন। পাশাপাশি ছোটোদের জন্যও
তিনি অনেক লেখা লিখেছেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে ‘Live or Die’ নামে তাঁর কবিতা সংকলন
প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুলিৎজার পুরস্কার পান। ১৯৭৪-এর ৪ অক্টোবর
তিনি মারা যান।
৩. ঘর পালানো ছেলে
শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়ের ভবঘুরে জীবন সম্পর্কে আমরা জানি। এই ঘর পালানো নেশা তার
ছোটোবেলা থেকেই। অল্প বয়সে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি বাবার সঙ্গে থাকেন না। বাড়ি
ছেড়ে চলে যান। একসময় তিনি নাগা সাধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কবরখানায় থাকতে শুরু
করেন। এমনকি তাদের সঙ্গে পালিয়েও যান। তবে বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে
বাড়ি ফেরানো হয়।
৪. দীর্ঘ্য বাক্য
ভিক্টর হুগোর বিখ্যাত উপন্যাস লা মিজারেবল। এখানে তিনি
একটি বাক্য লিখেছেন যার শব্দ সংখ্যা ৮২৩ টি।
৫. ফো থেকে ডিফো
বিখ্যাত উপন্যাস ‘রবিনশন ক্রুশো’-এর লেখক ড্যানিয়েল ডিফো।
তবে তাঁর প্রকৃত নাম ড্যানিয়েল ফো। ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দের
মাঝামাঝি কোনো একটি সময় থেকে তিনি তাঁর পদবির সঙ্গে ‘De’ কথাটি
যুক্ত করে ড্যানিয়েল ডিফো (Daniel Defoe) নামে পরিচিত হন।
তাঁর নামটি যাতে বেশ জোরদার শোনায় সেই জন্য তিনি পদবির
পরিবর্তন করেছিলেন।
৬. সবচেয়ে পুরোনো শিশু ম্যাগাজিন
সবচেয়ে পুরোনো এবং এখনও চলমান শিশুদের পত্রিকা হল
চাঁদমামা। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এই পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় তেলেগু
ভাষায়। বি নেগি রেড্ডি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তাঁর বন্ধু চক্রপাণি এই
পত্রিকা প্রকাশের ব্যাপের সহযোগী ছিলেন। বি-বিশ্বনাথ রেড্ডি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই
ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করেছেন। ১৯৭২-এর আগস্ট মাস থেকে এটি বাংলায় প্রকাশিত হতে শুরু
করে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়।
তবে পরের বছর থেকে এটি আবার প্রকাশিত হতে শুরু করে এবং আজও এটি সাফল্যের সঙ্গে
প্রকাশিত হয়ে চলেছে। বর্তমানে এটি ১৩ টি ভাষায় প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য এটি হল প্রথম
শিশুদের ম্যাগাজিন যেটি কোনো আদিবাসী ভাষায় (সাঁওতালি) প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি
কয়েক বছর এটির ব্রেইল এডিশনও প্রকাশিত হয়েছে।
৭. রবার্ট ফ্রস্ট ও মৃত্যু
বিখ্যাত কবি রবার্ট ফ্রস্ট কবিতার জন্য চারবার পুলিৎজার
পুরস্কার পেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো রবার্ট ফ্রস্টকেও তাঁর জীবদ্দশায় অনেক
মৃত্যুর স্বাক্ষী থাকতে হয়েছে। তাঁর স্ত্রী এলিনর ১৯৩৮-এ মারা যান। তাদের ছিল ছয়
সন্তান—এলিয়ট, লেসলি, ক্যারল, ইর্মা, মার্জোরি এবং এলিনর। এলিয়ট কম বয়সে কলেরায়
মারা যান। জন্মের এক সপ্তাহ পরে মারা যান এলিনর। ক্যারল ১৯৪০-এ আত্মহত্যা করেন।
মার্জোরি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এই সকল মৃত্যু হয়েছে রবার্ট ফ্রস্টের
মৃত্যুর আগে। কেবলমাত্র দুই সন্তান তাঁর মৃত্যুর পর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে ইর্মা
মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবার রবার্ট ফ্রস্টের বোন জেনিও মানসিক
রোগগ্রস্ত ছিলেন এবং ১৯২৯-এ মারা যান। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মৃত্যুশোক ও যন্ত্রণা
দগ্ধ করেছে ফ্রস্টের জীবনকে।
৮. ডিম, LOVE ও ZERO
Love মানে ভালোবাসা হলেও টেনিসে ‘লাভ’ কথাটির অর্থ শূন্য বা জিরো অর্থাৎ কোনো
স্কোর করতে না পারা। ১৯৭২ সাল থেকে এই টার্মটি চালু হয়েছে।
কারও মতে স্কোরহীন অবস্থাকে ‘লাভ’ শব্দটির
মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয় এটি বোঝাতে যে ‘প্লেয়িং পর লাভ’ বা ‘প্লেয়িং ফর নাথিং’। আবার
কিছু পণ্ডিতের মতে এই ‘Love’ শব্দটি এসেছে ফরাসী শব্দ ‘L’oeuf’
থেকে। এ-প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো কোর্টে র্যাকেট সহযোগে টেনিস
খেলার উৎপত্তি ফ্রান্সে। ফ্রান্সে ডিম কথার অর্খ । শূন্যকে দেখতে অনেকটা ডিমের
মতো হওয়ায় কোনো স্কোর না করাকে বলা হত ‘L’oeuf’ যা ক্রমে
ক্রমে ‘Love’ শব্দে পরিণত হয়েছে।
৯. প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস
জেন অস্টিনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ প্রকাশ হতে পনেরো বছরের বেশি সময় লেগেছিল। জেন অস্টিন ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এই উপন্যাস লেখা শুরু করেন এবং ১৭৯৭
খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসের মধ্যে এর মুল পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শেষ করেন। প্রথমে
তিনি উপন্যাসটির নাম দিয়েছিলেন ‘ফার্স্ট ইম্প্রেশনস’। তবে উপন্যাসটি কখনও ওই শিরোনামে প্রকাশিত হয়নি। মুল উপন্যাসটিতে তিনি
অনেক সংশোধন করেন এবং শেষপর্যন্ত ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ নামে এটি প্রকাশিত হয় ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি। মনে করা হয় তাঁর উপন্যাসটির নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে তিনি
সম্ভবত ফ্যামি বার্নির ‘সিসিলিয়া’
উপন্যাসটির শেষ অধ্যায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যার শিরোনাণও ছিল ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ৬১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তখন তা দূর্ঘটনা বলে বলা হলেও পাঁচ বছর পরে মেরি হেমিংওয়ে জানান সত্যিটা। তবে তিনি একা নন। তাঁর পরিবারের আরও চারজন আত্মহত্যা করেন। তাঁর বাবা ক্লেয়ারেন্স, বোন উর্সুলা, ভাই লেইসেস্টার ও নাতটি মারগুয়াক্সও আত্মহত্যা করেন।
১০.
আত্মহত্যার ট্র্যাডিশন!
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ৬১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তখন তা দূর্ঘটনা বলে বলা হলেও পাঁচ বছর পরে মেরি হেমিংওয়ে জানান সত্যিটা। তবে তিনি একা নন। তাঁর পরিবারের আরও চারজন আত্মহত্যা করেন। তাঁর বাবা ক্লেয়ারেন্স, বোন উর্সুলা, ভাই লেইসেস্টার ও নাতটি মারগুয়াক্সও আত্মহত্যা করেন।
No comments:
Post a Comment