Tuesday, September 29, 2020

সূচিপত্র

 সূচিপত্র

 

সম্পাদকীয়

 

ছড়া ও কবিতা

যশোধরা রায়চৌধুরী, আবদুশ সুকুর খান, সুনীল মাজি, তৈমুর খান, অংশুমান চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ সুব্রত, কমলেশ কুমার, অশোককুমার বাগ, বিকাশ চন্দ, শঙ্খশুভ্র পাত্র, অরিন্দম প্রধান, সুস্মেলী দত্ত, বনশ্রী রায় দাস, অমৃতা খেটো, জয়দেব মাইতি, বীথিকা পড়ুয়া মহাপাত্র, শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়, খুকু ভূঞ্যা, গোবিন্দ বারিক, মোনালিসা পাহাড়ী, শুভদীপ পাপলু, বিজয়া বিশ্বাস, দীপিকা সাহা, মৌপ্রিয়া গাঙ্গুলি, শ্যামল চন্দ্র দে, দীপঙ্কর গিরি, সুহিনা বিশ্বাস মজুমদার, বর্ণশ্রী বকসী, অদিতি দে চ্যাটার্জী, অমিতাভ দাস, বিশ্বজিৎ সাহু, মতিলাল দাস, মিঠু মন্ডল, শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচরিতা দাস মাইতি, দীপক জানা, আশীষ কুমার হাইত, সহদেব প্রধান, কাজী সামসুল আলম

 

ফিচার ও মুক্ত গদ্য

দুঃসময়ের পদ্মকুঁড়ি – শুভ্রাশ্রী মাইতি

জোনাকিজন্মের আলো – শুভঙ্কর দাস

বিবর্ণ নামতার কোজাগরি - লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল  

আলোর দিশারী : পাইনাঘাকালিয়ানী - সৌরভকুমার ভূঞ্যা

রাত্রি পেরোনো রিপোর্টার – সুজিত ভৌমিক

আঁধারে আলো – প্রাণনাথ শেঠ

একটি জানালা সবুজ পৃথিবী – অরুণিমা

আকাশ আলোর গান - মঞ্জীর বাগ

জীবনের জন্য জীবন - শিশিরবিন্দু দত্ত

 

ছোটোগল্প

সুখপাখি -  নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী

তুলির মনের মানুষ – মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রাপ্তি – রুমেলা দাস

আলো – সুজিত বসাক

বিশালগড়ে করোনাসুর - জয়তী ধর পাল

বনবাড়ি উপাখ্যান - মিতা চ্যাটার্জী

ভালোবাসার অরণ্যে – শুভায়ু দে

 

অণুগল্প ও স্বল্পকথায় গল্প

শেষবিকেলের আলো – সঞ্জয় কর্মকার

শহীদ - লেখা দাস মান্না

কর্তব্য সুমনা মন্ডল

পথের বাঁকে রাজকুমার আচার্য

রবির সুধা কেকা সেন

মূল্য পারমিতা মণ্ডল

আয়না– ইমন চৌধুরী

সুখেরসন্ধানে – সহেলী চট্টোপাধ্যায়

বাড়িয়ে দাও তোমার হাত - গীতা খাঁড়া

পাগলামি সুমিত হালদার

সাধক– বীথি ব্রহ্ম

এক টাকার ম্যাজিক – অমৃতা দেবনাথ

বেজে যায় ফোন - বিমল  মণ্ডল 

 

কবির মুখোমুখি

কবিতার রক্তমাংস – সুনীল মাজি

 

গ্রন্থ আলোচনা

অণুসমাজের গলিপথ – আকাশনীল (সামাজিক –মানস সরকার)

তিন ভুবনের পার – শুভ্রাশ্রী মাইতি (তিনাঞ্জলি – কবিতা সংকলন)


 


 

 

123

 123

Monday, September 28, 2020

বেজে যায় ফোন - বিমল মণ্ডল

 বেজে যায় ফোন

বিমল  মণ্ডল 

 

অপূর্ববাবু সারাদিন লকডাউনের বাজারে বাড়ির এটা-ওটা করে সময় কাটিয়ে দেয়। তার দু'মেয়ে। বিয়ে হয়ে গেছে। জামাইরা আমেরিকায় থাকে তাই বছরে এক আধবার  মেয়ে জামাই দেখে যায়। অপূর্ববাবু স্কুল মাস্টার  এবং বেশ বৃত্তবান।

    অপূর্ববাবুর স্ত্রী  খুব সুন্দরী বর্তমানে বয়স হলেও জৌলুশ এখনও আছে অপূর্ববাবুর চাকরি  থেকে অবসর নেওয়ার  সময়ও হয়ে গেছে। এই ধরুন লকডাউন  কাটলে হয়তো  দু'এক মাসের মধ্যে  ২০২১-এ অবসর নেবেন এই বয়সে কিন্তু অপূর্ববাবুর শখ একশো  শতাংশ  আছে। তাই এই লকডাউনে বউকে ছেড়ে কোথাও যায় না। দু'জন  দু'জনকে  খুব ভালোওবাসে। 

    অপূর্ববাবু নেটে মেয়েদের সঙ্গে চ্যাট করেন। আমেরিকার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায় ভালো-মন্দ খবর নেন। মাঝে মাঝে  ভিডিও  কলিং করেন। কিন্তু সমস্যা হল কয়েক দিন চ্যাটেও কথা হচ্ছে না। ভিডিও  কলিংও হচ্ছে না। খুব চিন্তার মধ্যে আছেন অপূর্ববাবু তাঁর স্ত্রী। 

    কয়েকদিন পরের কথা। একদিন সকালে অপূর্ববাবু বাজার গিয়েছিলেন। বাজার  থেকে এসে দেখেন স্ত্রী বিছানায় বেলা পর্যন্ত শুয়ে আছে। এমন কোনদিন হয়নি এর আগে। অপূর্ববাবু সোজা বিছানায় গিয়ে দেখলেন তাঁর স্ত্রীর সারা শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। কী করবেন অপূর্ববাবু ভেবে পাচ্ছেন না। কারণ এইসময়ে ডাক্তার পাওয়া বড়ো মুশকিল। আবার করোনার উপসর্গ  যদি ধরা পড়ে কি করবে? এই ভেবে  অস্থির  হয়ে উঠছেন  তিনি।

    সত্যি সত্যি বিপদ ঘনিয়ে আসে।

    একদিন হঠাৎ একটা গাড়ি আসে। অপূর্ববাবুর স্ত্রীকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপূর্ববাবুও নিভৃতবাসে। মেয়ে-জামাই ফোন করে। বাড়িতে ফোন বেজে যায়। শুধু ফোনের শব্দ বাইরে ছড়িয়ে...