সাধক
বীথি ব্রহ্ম
ওহ তুমি! আজ তো ডাকিনি! অকারণ আসা হল।
আমাকে কি দরকার নেই?
নাহ! কারণটা তুমিই জানো।
তবে আমি শুনছি না কথা, চেয়েছিলে আমি যেন মননের সত্তায় লেপ্টে থাকি। তাই তো আছি।
তা ঠিক! তবে এটাও জেনো, প্রথম পরিচ্ছদটা আজ প্রথম ধাপে উঠে গেছে।
তাতে কী! তোমার শিরায় শিরায় গড়িয়ে গড়িয়ে প্রবল শক্তি দিয়েছি—মনে পড়ে না?
ওমা! সেটাই তো তোমার জাদু! তাতেই অবশ্য মগ্ন ছিলাম।
তবে কেন ভুলে যেতে চাইছো আমায়? শুধু ধুকপুক করছি। আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাই,,,তোমার অনেক কামনার প্রস্পেক্ট অপেক্ষা করছে।।
হ্যাঁ, এবারে অন্য বার্তা পেয়েছি।
কার কাছে? কী বার্তা?
পাখি ঠোঁটে করে আনলো—প্রেম, প্রণয়, স্নেহ, মোহ, মায়ার বন্ধনের খড়কুটো। কোন --
তো!! সমস্যা কোথায়? এই ঐশ্বর্যের সিংহদুয়ারে তোমাকে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছো কেন-- শিল্প, সংস্কৃতির পেলব কোলাজ তোমায় উপহার দিয়েছি।
ভুলিনি, সেগুলোই তো এখনো রক্তবীজের মতো ছেয়ে আছে। এবার আর দ্বিতীয় পরিচ্ছেদটা পূর্ণ করতে তুমি পারবে না। সে কিন্তু অন্য পৃথিবী, অন্য সাধনা। খুব কঠিন।
আমি তো কঠিনের করেছি বরণ। ভয় কী!
হয় তোমার খোলস বদল করতে হবে, না হয় জায়গাটা ছাড়তে হবে।
ভরসা পাচ্ছো না?
কী করে পাই!
তিলে তিলে সম্মানে শ্রদ্ধায় যখন গড়েছো, একটা সুন্দর ভাবনা থেকেই তো!
ঠিক বোঝাই কী করে, তোমার মধ্যে তোমার মধ্যে ওই বিশেষ স্পন্দনটা নেই গো।
যদি তা হয় ও, তবু আমি এখনো কিছু রহস্যভেদ করতে পারি।
এ কিন্তু সামান্য কিছু রহস্য নয়। জটিলতা আছে। আমি ই তো বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ি মাঝে মাঝে,,,,
তবে? আমাকেও না? রহস্যময়তাকেও না?
ঠিক তাই! চাই রহস্যহীন জীবনের রসদ।
সে তো আম-মহিলার বাসনা। তুমি সেটা কখনোই চাও নি।
ঠিক তাই! সাধারণ এর দিকে চেয়েই দেখিনি।
ওসব তোমার জন্য নয় বলেই দম্ভ করতে।
এখন দেখছি সাধারণের মধ্যেই অসাধারণ কিছু আছে।
তোমার অভিরুচি।
ওই যে আসছে, জায়গা করে দাও।
সে কে?
নতুন পরিচ্ছেদ পূরণের রহস্যভেদী সাধক।
No comments:
Post a Comment